বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করার তিন দিন পর খনির ৫২ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে কয়লা উৎপাদন সাময়কিভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খনিতে ৩০০ জন চীনা ও ৪০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। ২৬ জুলাই ১৪৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনের পজিটিভ ফলাফল আসে। পরবর্তী সময়ে ২৮ জুলাই ৩০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ৩৪ জন চীনা ও ২ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা ২০ দিন আগে খনি থেকে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু করি। প্রথম ৭ দিন প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলনের পর চূড়ান্তভাবে শুরুর কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। খনিতে কর্মরত চীনা শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- আগের মতো যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরকে খনির বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। যারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে গেছেন, তারা খনির বাইরে চলে গেছেন। শিগগির যে সকল লেবার বাইরে আছে, তাদের খনিতে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হলেও অন্য শ্রমিকদের দিয়ে কূপের উন্নয়ন কাজ চলছে বলেও জানান সাইফুল ইসলাম।
খনি সূত্রে জানা গেছে, গত (১ মে) খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হলে, ওই কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজ শেষ করে আগস্টের মাঝামাঝি খনির নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই গত বুধবার সকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কয়লা উত্তোলন কাজের উদ্বোধন করেন।